সরকারের মেয়াদ শেষ হচ্ছে আর বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে। পুলিশ আজ পর্যন্ত নির্যাতনকারীদের পাকড়াও করতে পারেনি। নিচের লেখাটা ফেসবুকে দিয়েছিলাম ৩ নভেম্বর, ২০১৩ তারিখে।
‘আপনারা তদন্ত কমিটি গঠন করিতে থাকেন। রিপোর্ট দিতে থাকেন। আবার নতুন উদ্যমে সংখ্যালঘুদের ঘর, বাড়ি, মন্দির ভাঙ্গিতে থাকেন। সংখ্যালঘুদের সম্পত্তি জোর করিয়া দখল লইতে থাকেন। সংখ্যালঘু নারীদের ধর্ষণ করিতে থাকেন। তাদের জোর করিয়া বিবাহ করিতে থাকেন বেহেস্তে যাইবার পথ সুগম করিবার জন্য। আপনারা ভয় ভীতি প্রদর্শন করিয়া তাদের ভারতবর্ষে পাচার করিতে থাকেন। সংখ্যালঘুদের আরো সংখ্যালঘু করিতে করিতে শূন্যের কোঠায় নিয়া আসেন। অতপর আরেকটি কমিটি গঠন করিবেন ইহা খুজিতে যে বাংলাদেশের সংখ্যালঘুরা কোথায় হারাইয়া গেল? ‘সংখ্যালঘু সার্চ কমিটি’ রিপোর্ট প্রদান করিলে সেই রিপোর্ট লইয়া ‘মানবাধিকার কর্মীগন’ এবং ‘সুশীল সমাজ’ জাতিসংঘে দৌড়াইবেন, পয়সাওয়ালা দেশের দুতাবাসের কর্মীদের xxxxxx চাটিবেন — সংখ্যালঘুদের সংরক্ষণ প্রকল্পে প্রচুর আর্থিক সাহায্য আসিবে। বিনিয়োগ ও আসিতে পারে ‘সংখ্যালঘু জাদুঘর’ প্রকল্পে। কারণ টিকিট কাটুনেওয়ালা দর্শকদের অভাব হইবে না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক, দাদাজান নাতি নাতনিদের নিয়া ‘সংখ্যালঘু জাদুঘরে’ আসিয়া সগর্বে তার নাতি নাতনিদের বলিবেন – ‘জানো দাদুভাইয়েরা, আমি নিজের চোখে এদের পূর্বপুরুষদের উন্মুক্ত রাস্তাঘাটে চলাফেরা করিতে দেখিয়াছি। আমরা যখন উদার, ধর্মনিরপেক্ষ বাংলাদেশ গড়ার আন্দোলন করিয়াছিলাম তখন আমার সাথেই এদের পূর্বপুরুষেরা আন্দোলন করিয়াছিলো।’
খবরের লিংক এখানে পাবেন: http://bangla.bdnews24.com/bangladesh/article694154.bdnews